দায়ূদ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যুদ্ধে কারা জিতেছে বল?”লোকটি উত্তর দিলো, “আমাদের লোক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গেছে| অনেক লোক যুদ্ধে মারা গেছে| এমনকি শৌল এবং তার পুত্র য়োনাথনও যুদ্ধে মারা গেছে|”
সৈনিক উত্তর দিলো, “আমি তখন গিলবোয পর্বতে ছিলাম| আমি শৌলকে তার বর্শার উপর ভর দিয়ে ঝুঁকে পড়তে দেখেছি| তখন পলেষ্টীয় রথ ও অশ্বারোহী সৈনিকরা ক্রমশঃ শৌলের কাছাকাছি এগিয়ে আসছিলো|
তিনি এমন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন যে আমি বুঝলাম তিনি আর বাঁচবেন না| সুতরাং আমি তাঁকে হত্যা করলাম| তারপর আমি তার মাথা থেকে রাজমুকুট, বাহু থেকে বালা খুলে নিয়েছিলাম| হে আমার মনিব, সেগুলি নিয়ে এখন আমি আপনার কাছে এসেছি|”
তারা দুঃখে কাঁদতে লাগল ও সন্ধ্যা পর্য়ন্ত উপবাস করে রইল| তারা শৌল এবং তার পুত্র য়োনাথনের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করতে লাগল| দায়ূদ এবং তাঁর সঙ্গীরা, প্রভুর যে সমস্ত লোকরা নিহত হয়েছে তাদের জন্য এবং ইস্রায়েলের জন্য কাঁদলেন| কারণ শৌল এবং তাঁর পুত্র য়োনাথন এবং বহু ইস্রায়েলীয় যুদ্ধে মারা গিয়েছিল|
তখন দায়ূদ, যে সৈনিক তাকে শৌলের মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছিল, তার সঙ্গে কথা বললেন| দায়ূদ জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোথা থেকে আসছো?”সৈনিক উত্তর দিল, “আমি এক বিদেশীর ছেলে| আমি একজন অমালেকীয়|”
তখন দায়ূদ সেই অমালেকীয়কে বললেন, “তুমিই তোমার মৃত্যুর জন্য দায়ী| তুমিই বলেছিলে যে তুমি প্রভুর অভিষিক্ত রাজাকে হত্যা করেছ| সুতরাং তোমার নিজের কথাই তোমার অপরাধের প্রমাণ দিচ্ছে|” এরপর দায়ূদ তাঁর এক তরুণ ভৃত্যকে ডেকে এই অমালেকীয়কে হত্যা করতে আদেশ দিলেন| তখন সেই ইস্রায়েলীয় যুবক সেই অমালেকীয়কে হত্যা করল|
শৌল এবং য়োনাথন একে অপরকে ভালোবাসতেন এবং জীবনভোর একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেছিলেন| মৃত্যুও তাঁদের আলাদা করতে পারে নি| তাঁদের গতি ঈগলের থেকেও তীব্র ছিলো| তাঁরা সিংহের থেকেও বলবান ছিলেন|